“পরম্পরা” উৎসব সংখ্যা ১৪৩০ গতকাল প্রকাশিত হয়েছে …যার শুরুই হয়েছে শ্রদ্ধেয় সন্দীপ দত্তকে স্মরণ করে ….পড়তে পড়তে মনটা বেশ ভারাক্রান্ত হয়ে যায়…
গতকাল রাতেই পড়ছিলাম চিন্ময় গুহর হাইকুগুলি…প্রবন্ধ , গল্প , কবিতা , ভ্রমণ ইত্যাদি সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটি বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে ৷ কিছুদিন আগেই পরম্পরা প্রকাশনের ঘরে বসেই বন্ধু কবি সৈয়দ হাসমত জালাল দূরদর্শনের জন্য শারদ লিটল ম্যাগাজিন নিয়ে কিছু আলোচনা করেছিল ৷ শুনলাম আজ তা দেখানো হবে…
জয় হোক “পরম্পরা” পরিবারের …এগিয়ে যান অক্লান্ত পরিশ্রমী সম্পাদক ও প্রকাশক গৌতম দাশ, তাঁর সহযোগী কমল এর কথা উল্লেখ করতেই হয়…অর্থের জন্য কাজ তো সবাই করে কিন্তু এত নিষ্ঠা নিয়ে কাজ ….যোগ্য সাথী পেয়েছেন গৌতমবাবু৷ তাই তাঁর কমলের প্রতি নির্ভরতা ও ভালোবাসাও গভীর …
কবি রামকিশোর ভট্টাচার্য্য
একটি সাধারণ লড়াকু মেয়ের মুখ ।কপালে মস্ত টিপ ,আর সিন্দুরলাল রঙে আঁকা ত্রিনয়ন যা ওই সাধারণ মেয়েটির অসাধারণ হয়ে ওঠার দ্যোতক। দশভুজা হয়ে সংসারের বহুধা বিভক্ত অভাব সামলানো,বাইরের লোভ লালসা , অসুররূপী মানুষদের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই…. ওরাই তো আসল দুর্গা।শক্তির প্রতিভূ।
যে বইয়ের প্রচ্ছদের কথা বলছি সেটি পরম্পরা পুজো সংখ্যা। ৬৮৩ পাতার এই সংখ্যা গুনেমানে অসাধারণ ।
গতকাল অবনীন্দ্র সভাঘরে প্রকাশ পেল। প্রকাশ করলেন মনোবিদ বিশেষজ্ঞ ডঃ গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌম্যশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়,বিশিষ্ট কবি মৃদুল দাশগুপ্ত,শিবাশিস মুখোপাধ্যায়,রামকিশোর ভট্টাচার্য, পল্লববরণ পাল,সম্পাদক গৌতম দাশ সহ আরো অনেকে। প্রকাশ পেল বিশিষ্ট কবি রামকিশোর ভট্টাচার্যর ছড়ার বই–‘ মেঘ দেওয়ালে নকশা আঁকি’
এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে সামিল হলাম আমরা সবাই।খুব ভালো কেটেছে কালকের সন্ধ্যা। বন্ধুরা পত্রিকাটি সংগ্রহ করতে পারেন। বিনিময় মূল্য 400 টাকা। সংগ্রহে রাখার মত একটি পত্রিকা ,একথা দায়িত্ব নিয়ে বলছি।
অন্য অনেকের সাথে আছে আমারও একটি ছোট গল্প– ঘেন্না।( শ্রদ্ধেয়া রত্না মিত্র দিদির কাছে শোনা একটি ছোট ঘটনা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিলো। সেই প্রেক্ষিতে বোনা আমার গল্পখানি। কৃতজ্ঞতা ও প্রনাম জানালাম দিদি কে)
কালকের অনুষ্ঠান গান,গল্প,কবিতা,আলোচনা,আবৃত্তি দিয়ে সাজানো ছিল। আমি ছিলাম রবীন্দ্রনাথ এর কবিতায়।গৌতম দাশের সাবলীল সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে প্রাণ সঞ্চার করেছিলো।
নন্দিতা সিনহা